লঞ্চঘাট ফেরিঘাটে সিঁড়ি নির্মাণকাজ অনিয়ম আড়াল করতে রড কর্তন
- আপলোড সময় : ০৬-০৩-২০২৫ ০১:১৫:৪১ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৬-০৩-২০২৫ ০১:১৫:৪১ পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাটস্থ ফেরিঘাটে সিঁড়ি নির্মাণ কাজে বেইজের বাইরে পাইলিং পিলার স্থাপনের বিষয়টি ধরা পড়ায় তা আড়াল করতে রড কেটে ফেলা হয়েছে। বুধবার দুপুরে এই পাইলিংয়ের রড কেটে ফেলা হয়।
স্থানীয়রা জানান, এই সিঁড়ি নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি শুরু হয়েছে। সিঁড়ি নির্মাণকাজের ম্যাজারমেন্টে স্বজনপ্রীতি করে অবৈধ স্থাপনাকে বাঁচিয়ে বেইজের পিলার একেবারে সাইটে নিয়ে স্থাপন করা হয়েছে। এভাবে অনিয়ম করে ৬টি পিলার একেবারে বেইজের সাইটে স্থাপন করা হয়। অথচ এখানে সরকারি জায়গার সংকট নেই।
তারা জানান, বুধবার সকালে সিঁড়ির গোড়ার দিকে ধরা পড়ে পাইলিং পিলার বাইরে রেখে বেইজ নির্মাণ করা হয়েছে। তখন এই বিষয় দেখতে ছুটে আসেন কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী। পাইলিং পিলার বেইজের বাইরে পড়েছে দেখে ছবি তোলে চলে যান। কিছুক্ষণ পর চলে আসেন পৌরসভার কয়েকজন। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী এই অনিয়ম ঢাকতে বেইজের বাইরে পড়া পাইলিং রড কেটে ফেলা হয়। এই খবর পেয়ে পুনরায় গণমাধ্যমকর্মীরা সরেজমিনে আসেন এবং ছবি তোলেন।
এ সময় স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ড্রেজারের মাটিযুক্ত বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। এই কাজে পিলার ও বেইজে বায়োভেটার ব্যবহার করা হয়নি।
সুরমা ইউপি সদস্য ও পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমাদের নিরাপদে আসা-যাওয়ার জন্য এই সিঁড়ি নির্মাণ হচ্ছে। এই কাজে অনিয়ম হলে ছাড় দেয়া যাবে না।
স্থানীয় ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন রাসেল বলেন, এই সিঁড়ি শুধু আমরা ব্যবহার করবো না। প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানের হাজারো মানুষ চলাচল করবে এই সিঁড়ি দিয়ে। এই সিঁড়ি দেখবে জেলার এবং জেলার বাইরের মানুষজন। তাই সিঁড়ি নির্মাণ যেমন টেকসই হতে হবে, তেমনি সৌন্দর্য্য বর্ধন থাকতে হবে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার আতিকুর রহমান বলেন, আমরা কোনো কাজে ভুল করিনি। ভুল যদি করে থাকে প্রকৌশলী করেছে। এখানে যারা কাজ করছে বালু পর্যন্ত নেট করে দিতে বলে দিয়েছি।
অভিযোগের ভিত্তিতে সুনামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কালীকৃষ্ণ পাল, সহকারী প্রকৌশলী কয়েছ আহমদ ছুটে আসেন সরেজমিনে। সবকিছু দেখে-শুনে তারা বলেন, এটা আমাদের কর্তৃপক্ষ এবং ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে এই ভুল হয়েছে। এই কাজে আগামীতে আর ভুল হবে না। এ সময় পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা ও ঠিকারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামের লোকজন ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে সুনামগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কালীকৃষ্ণ পাল বলেন, সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন সিঁড়ি হচ্ছে পূর্ব ইব্রাহীমপুর গ্রামের ফেরিঘাটের। আগামীতে কাজে কোনো ভুলত্রুটি হবে না। সবাই কাজের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ